নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র লাগে। নতুন ভোটার আবেদন করতে কি কি লাগে বিস্তারিত জানতে পারবেন এখানে।

নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটার নিবন্ধন নেয়া শুরু হলে বা অনলাইনে ভোটার নিবন্ধন করতে গেলে বেশ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রগুলো ছাড়া ভোটার আবেদন করতে পারবেন না। এছাড়া, কোনো কাগজপত্র মিসিং থাকলে আপনার আবেদনটি অনুমোদন করা হবেনা।

তাই, নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করার পূর্বে কি কি কাগজপত্র লাগবে তা জেনে নেয়া আবশ্যক। চলুন, বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে

নতুন ভোটার নিবন্ধন করার সময় জন্ম নিবন্ধন সনদ, পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ড, নাগরিক সনদপত্র, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্ট, ইউটিলিটি বিলের কপি, পরীক্ষার সনদপত্র এবং বাসা-বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ সহ বেশ কিছু ডকুমেন্ট লেগে থাকে।

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে গেলে যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় সেগুলোর একটি বিস্তারিত তালিকা নিচে উল্লেখ করে দেয়া হল —

  1. জন্ম নিবন্ধন সনদ
  2. হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ
  3. ইউটিলিটি বিলের কপি
  4. রক্তের গ্রুপ টেস্টের রিপোর্ট
  5. পরীক্ষার সনদ পত্র
  6. স্বামী/স্ত্রীর এনআইডির তথ্য
  7. পিতা-মাতার এনআইডির তথ্য
  8. নাগরিক সনদপত্র

ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার সময় এসব ডকুমেন্ট সাথে রাখতে হবে। যদি সরাসরি আবেদন করেন, তাহলে ডকুমেন্টগুলো ফটোকপি করে নিতে হবে। তবে, অনলাইনে আবেদন করলে ডকুমেন্টগুলো স্ক্যান করে কপিগুলো আপলোড করতে হবে।

নতুন ভোটার হতে কত টাকা লাগে

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে কোনো টাকা লাগেনা। তবে, গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টগুলো সাবমিট করার সময় ফটোকপি করতে কিংবা স্ক্যান করতে টাকা লাগবে। এছাড়া, আপনার কাছে যদি কোনো ডকুমেন্ট মিসিং থাকে, তাহলে সেগুলো সংগ্রহ করতে আলাদা করে টাকা প্রয়োজন হবে।

নতুন ভোটার হতে কতদিন সময় লাগে

ভোটার হওয়ার জন্য নিবন্ধন করার পর প্রায় এক মাস বা তার কিছু কম সময় লেগে থাকে ছবি তোলার জন্য ডাকতে। অর্থাৎ, ভোটার হওয়ার জন্য সরাসরি আবেদন করলে কিংবা অনলাইনে আবেদন করলে আবেদনটি যাচাই করার পর ছবি তোলা এবং বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করার জন্য ডাকা হয়।

ছবি তোলা এবং বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করার প্রায় এক মাস থেকে তিন মাস সময়ের মাঝে এনআইডি কার্ড তৈরি হয়ে যায়। এনআইডি কার্ড তৈরি হলে নিবন্ধনের সময় দেয়া নাম্বারে এসএমএস করে এনআইডি কার্ডের নাম্বার জানিয়ে দেয়া হয়।

শেষ কথা

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে, কত টাকা লাগে এবং কতদিন সময় লাগে এসব বিষয় শেয়ার করেছি এই পোস্টে। যারা এখনো ভোটার আবেদন করেননি, কিন্তু ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য বয়স হয়েছে, তারা ভোটার আবেদন করতে পারবেন এখন।

নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটার আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। তাই, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করুন।

অন্যান্য পোস্টগুলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *