ভোটার আইডি কার্ড বা স্মার্ট কার্ডের মেয়াদ কতদিন জানেন? অনেক জায়গায় হয়তো দেখে থাকবেন ভোটার আইডি কার্ডের মেয়াদ আছে। তবে কতদিন? বিস্তারিত জানবো এই পোস্টে।
বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য ভোটার আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়। নতুন ভোটার নিবন্ধন করার পর ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে সেটি ব্যবহার করা যায়। এছাড়া, পুরাতন ভোটারদেরকে স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়ে থাকে।
তবে, ভোটার আইডি কার্ড বা স্মার্ট আইডি কার্ডের মেয়াদ কতদিন তা অনেকেই জানে না। চলুন, এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
এই পোস্টের বিষয়বস্তু
ভোটার আইডি কার্ডের মেয়াদ কতদিন
ভোটার আইডি কার্ডের কোনো মেয়াদ নেই। ভোটার আইডি কার্ড বিতরণ করার পর ব্যক্তি জীবিত থাকা পর্যন্ত উক্ত আইডি কার্ড ব্যবহার করতে পারবে। যেহেতু এই কার্ডের কোনো মেয়াদ নেই, তাই এটি রিনিউ করার প্রয়োজন পড়েনা। অর্থাৎ, পাসপোর্ট রিনিউ করার মতো করে ভোটার আইডি কার্ড রিনিউ করতে হয়না।
অনেক জায়গায় হয়তো দেখে থাকবেন যে, ভোটার আইডি কার্ডের মেয়াদ ১৫ বছর। যা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। ভোটার আইডি কার্ডের কোনো মেয়াদ নেই। অনলাইন থেকে ডাউনলোড করা ভোটার আইডি কার্ড কিংবা নির্বাচন কমিশন থেকে বিতরণ করা আইডি কার্ডের কোনো মেয়াদ নেই।
একজন ব্যক্তি ভোটার নিবন্ধন করার পর ভোটার আইডি কার্ড পেলে তা যতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন ব্যবহার করতে পারবেন।
স্মার্ট আইডি কার্ডের মেয়াদ কতদিন
ভোটার আইডি কার্ডের মতো স্মার্ট এনআইডি কার্ডেরও কোনো মেয়াদ নেই। নির্বাচন কমিশন থেকে স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হলে, ব্যক্তি সেটি তার মৃত্যু পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। পাসপোর্ট এর মতো স্মার্ট এনআইডি কার্ড রিনিউ করতে হয়না।
স্মার্ট কার্ড দেশের এক কোটির বেশি ভোটারকে বিতরণ করা হয়েছে। যারা ইতোমধ্যে স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন, তাদেরকে উক্ত কার্ডের মেয়াদ নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা। কারণ, নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্যমতে Smart NID Card এর কোনো মেয়াদ নেই।
তাই, যারা স্মার্ট আইডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ডের মেয়াদ নিয়ে চিন্তায় ভুগছেন, তাদের এটি জেনে রাখা আবশ্যক যে জাতীয় পরিচয় পত্রের মেয়াদ আজীবন।
শেষ কথা
ভোটার আইডি কার্ড বা স্মার্ট আইডি কার্ডের মেয়াদ আজীবন। একজন ব্যক্তি যতদিন জীবিত থাকবেন, ততদিন তার এনআইডি কার্ডটি ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া, এনআইডি কার্ড রিনিউ করার প্রয়োজন পড়েনা।